Your Cart
:
Qty:
Qty:
ঘি এর কদর ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র। বাংলার বহু রান্নায়, মূলত গুরুপাক খাবারে ঘি ব্যবহৃত হয়ে খাদ্যরসিক বাঙ্গালির রসনার তৃপ্তি ঘটিয়ে আসছে। পোলাও, বিরিয়ানিতে ঘি একটি অত্যাবশ্যক উপকরণ। এছাড়াও নানান রকম ভর্তা ও ভাজিতেও ঘি তার চমৎকার গন্ধের জন্যে সমাদৃত। পঞ্জাবের রেস্তোরা গুলোতে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরিতে ঘি এর বিপুল ব্যবহার হয়। আবার নান ও রুটি সেঁকার পর এর ওপর ঘি এর প্রলেপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন রকম মিষ্টান্ন, হালুয়া, লাড্ডু ইত্যাদি প্রস্তুতিতে ঘি ব্যবহৃত হয়।
লবণবিহীন মাখনকে চুলোয় জ্বাল দিয়ে ঘি প্রস্তুত করা হয়। প্রথমে পাত্রে মাখন নিয়ে জলটুকু বাষ্প হয়ে উড়ে না যাওয়া এবং প্রোটিনটুকু পাত্রের তলায় জমা না হওয়া পর্যন্ত তা জ্বাল দেওয়া হয়। পরিশোধিত ও রান্না হওয়া মাখন চামচ দিয়ে তুলে নেওয়া হয়, যেন তা পাত্রের তলদেশে দুধের কঠিন অংশটুকুর জমাট বাঁধায় কোন বিঘ্ন না ঘটায়। ঘি ও মাখনের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য হল ঘি রেফ্রিজারেটরে না রেখেও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়, তবে সংরক্ষণ পাত্রটি বায়ুরোধক হতে হবে (জারণ প্রতিরোধ করার জন্যে) ও আর্দ্রতা-মুক্ত হতে হবে।[২] ঘি এর গন্ধ-স্বাদ এর প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হওয়া দুধ এবং জ্বাল দেয়ার সময়ের ওপর নির্ভর করে। বাঙ্গালিরা গরুর দুধ থেকে তৈরি গাওয়া ঘি (গব্য ঘৃত) কে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ঘি বিবেচনা করে।